top of page

রৈখিক মানব

Some feelings & emotions are too much vast to express in genaral form of comunication in our lives. Even sometimes paintings are  mute to effort the state of expressions. So, for some people art of words come to play in rhythm.

খনো কখনো অনুভূতি এবং আবেগগুলো এতটাই বিশাল যে জীবনের সাধারন আচড়নে তার বহিঃপ্রকাশ অপরিপূর্ন। এমনকি কখনো তা চিত্রশিল্পেরও ক্ষমতার বাইরে থেকে যায়। কিন্তু কিছু মানুষের জন্য শব্দের শ্বৈলী সে শূন্যস্থান পূরন করে দেয়।

 

 

 

 

প্রার্থনা

সৃষ্টির উন্মক্ততায় মাতাল হৃদয়ে
একক সন্ধানে সকল সৃষ্টির মাঝে
প্রশ্নের ঠিক শেষ দরজায়,
অস্তিত্বের সর্বস্ব নিয়ে বিমূর্ত চিৎকারে;
আমায় বিভক্ত কর এককের মিলনে
আমায় উন্মুক্ত কর স্বাসত চরনে !

 

 

ধাবমান ১৫ সেকেন্ড
(২৮/০৪/২০১৩)
মাতৃত্বের অক্ষমতায় দেহটির গড়িয়ে পরা
ডাগর চোখে ভাবলেশহীন দৃষ্টি- বয়স দুই কি আড়াই,
ঠিক পাশেই অবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে তার সহোধর
উৎসুক মনের জিজ্ঞাসায় একটু পদক্ষেপ- বয়স চার কি পাঁচ,
স্বতসিদ্ধ সমাজের নির্মম শিক্ষায় ওরা সাবলিল ।

মধ্য দুপুড়ের কড়া রোদে বৈরী শহরের কোলাহল
বাসের সিটে বসে আমি এক অক্ষম ধাবমান দর্শক
হাজারো দর্শক আমার মতই ছুটছে তার গন্তব্য পথে,
ক্ষুদ্র আকাঙ্কখায় আমাদের মানবিকতা নির্বাসনে
অথবা অক্ষমতায় যোগ্যতাগুলো অযোগ্যতায় রুপ নিয়েছে
আর অযোগ্যতা গুলো যোগ্যতায় ।

পাকা রাস্তার ধারে পড়ে যাওয়া একটি নিথর মাতৃত্ব
দৃশ্যত, দুটি সন্তানের এক জননীর ছন্দপতন
না, এটি কোন কাকতালীয় ঘটনা নয়
এ আমার সোনার বাংলার পয়সার ওপিঠ,
তবু কোন হৃদয় বড় অযোগ্যতায় চিৎকার করে ওঠে-
আমি জানিনা দুটি সন্তান অনাথ হলো কিনা !
জানিনা, এ দুপুরে স্বাধীনতার ৭১ আবারো মুখ থুবড়ে পড়লো কিনা !

 

 

অবিভক্ত স্ক্রলচিত্র
মনে পরে শেষ কবে কেঁদেছ ?
ঘুমের কোলে শেষ অভিমানের আত্মসমর্পন !
কিংবা শেষ কবে ফোটা পদ্মের মতো হৃদয় হেসেছিল !
ভালবাসার আবেগে সব ভুলে যাওয়ার শূন্যতায়-
ছিলেনা তুমি নিজের মাঝে কোন অঙ্ক কষার হিসেবে !
সবই কি হারিয়েছে !
সবই কি বিস্মৃতির কারাগারে শুধুই এক মহাকাব্য!
কি জানি! হয়তো তাই,
আমিও আজ ভুলে গেছি সব
বিস্মৃতির অভিলাষে ভাসিয়ে নিজেকে
তোমার মত
তোমাদেরই মত!

নিয়ে অভিলাষের পরিশিষ্টটুকু সঙ্কটে
নিজেকে দেখা ; স্মৃতির দেয়ালে তুলে রাখা এক অবিভক্ত নীল স্ক্রলচিত্র
যেন, আমার আর আমারই অবিচ্ছিন্ন ছায়ার দীর্ঘ সঙ্গম লীলা ।

 

 

নুতন কোন বিশ্বাস

জীবন ব্যাকরণে সঙ্কীর্নতার উত্থানে

অক্ষমতার মত সত্য যখন কানে কানে বলেযায়-

তুই ক্ষুদ্র তুই জীর্ন এই আবরনে!

সে অস্তিত্বের পুরোটা চিৎকার করে ওঠে 'মৃত্যু দাও' !

আমায় মৃত্যু দাও !মৃত্যু দাও সকল জীর্নতা বিসর্জনে,

তবু ক্ষীন আঁশা বুকে তখনো আমি অপেক্ষায়

অস্তিত্বের গভীরে সুপ্ত কোন বীজের স্বপ্ন জিজ্ঞাসায়,
 

হৃদয় পোড়া তাপে তারে উষ্ণতা দিই

দিই প্রতিরাতে চোখের জল,

নিয়ে দীর্ঘ অপেক্ষায়!
 

এখনো অপেক্ষায় যদি তার ঘুম ভাঙ্গে

যদি সে পত্র পল্লব মেলেধরে হৃদয় সুর্যে,

আমি বাঁচবো, আবার বাঁচবো সে বৃক্ষের করে

নুতন কোন বিশ্বাসে !

সাম্যের অসীম কোন দ্বারে

সকল জীর্নতা আর সঙ্কীর্নতার আঁধার হতে মুক্ত

মানব হৃদয়ে আশার শুকতারার মত,

আমি আবার বাঁচবো সে বৃক্ষের করে!

 

 

পূজো

সূর্যাস্তে -উদয়ে, রুপে -অরুপে কত ছন্দ

কত সমীকরন- স্রষ্টা আর সৃষ্টির ব্যাবধানে

অদম্য হাতছানি কত ব্যকরনের পেছনে

তুমিও ছোট আপন আশ্চর্য অরন্যের পথে !
 

জানিনা আলো আঁধারের পালাবদল হয় কিনা সেখানে

কিংবা অস্তিত্বের জীবন-মরন

জানিনা তোমার অরন্যে পাখিরা কোন সুরে গান বাঁধে

কিংবা কাঁদে কিনা ভালবাসা বিসর্জনে!
 

এ অরন্যে ওরা নির্বাসীত বিয়োজনের বিরাগে,

যখন একাকিত্বের বসনায় আমি আবৃত্ত

না শুধু অন্ধকার নয় এখানে !

হৃদয়ের আলোয় খুজি আমি নিজেকে শত কোলাহল মাঝে,

আর নিভৃতে, রাতে!

অন্তরের আপন অস্তিত্বের পরষে প্রশস্ত

সেখানে তুমি থাক আর থাকে আলোক নৃত্য,

আমি জানিনা তোমার অরন্যের দিন রাতের গল্প

জানিনা সেখানে ফুলে কি রঙ বাতাসে কি তার গন্ধ,

এ অরন্যে তবু তোমারি গল্প সাজে

ফোটে ফুল বিস্তীর্ন জমি জুড়ে মাতাল সুবাসে,

এ ফুলেই পূঁজো হয় তোমার, আর ভালোবাসার

পুজো হয় মানবতার চড়নে।

 

 

রাজনৈতিক পরকীয়া

জীর্ন তৃষ্ণায় লালের নৃত্যে কত জীবনের ইতি 

শরীর পুড়ে অঙ্গার কয়লা!

বাতাসে স্বজনদের আপনহারা আর্তনাদ!

আর কালো আবরনে; বেওয়ারিস, সব বেওয়ারিস !

শত শত প্রাণের আলো মুহুর্তে গেছে নিভে

খুন আর নোংরা স্বার্থের পৈশাচিক জালে,

কে জানে মৃত্যুর এ মিছিলে আর কজন যাবে !

শিশুটি জানেনি তার মা-বাবা কোথায় গেছে

শত মা-বাবার আদরের সন্তানেরাও আর ফেরেনি

কিংবা কেঊ সঙ্গীহারা আর্তনাদে নীল সঙ্গমে,
ওরা জানেনা কি অভিশাপে প্রানের মানুষেরা আজ না ফেরার দেশে !

হাহাকার বুকে ওদের জমাট বাঁধে বোবাকান্না

সাধারনের মৃত্যুর দায়ও নেয়না কেউ আপন করে

আর, দায়ীরা !

মুক্ত আকাশের শকুন

দিনে রাতে চলে ওদের রাজনৈতিক পরকীয়া

তাই বিচারেরাও জন্মে জ্বারজের মত,

আজ যায় কাল যায় ওদের কথাও যায় হারিয়ে,

নিস্তব্ধ, শান্ত সব আবার আগের মত.........

প্রস্তুত বসে আবারো বিসর্জনের লীলায়,

সাবাস মানব ! সাবাস জাতী !
বাহবা তোদের এ উদার বিসর্জনে !

 

 

অদৃষ্টের প্রবঞ্চনা

মহাকালের বৃত্তের কোন প্রান্তে দাঁড়িয়ে
সাম্যের সীমান্ত হারিয়ে বলয়হীন প্রলয়ে
দুমড়ে মুচড়ে গেছে কতো নিষ্পাপ হৃৎপিন্ড
কত কোটি শিশুর ভাগ্য,
সুন্দরের প্রতীমা ছাপিয়ে অসহায় আর্তনাদ
কত হৃদয়ে মৃত্যু প্রার্থনা !
কত ক্ষুধার্ত শীশুর মায়ের কান্না !
মানবতার এ নির্মম পরিহাসে
আজ আমরা কোথায় দাঁড়িয়ে !

বলি যাওয়া নিষ্পাপ প্রানের কাঁচা রক্ত হাতে
কোন সে সম্পদের মোহে এ বিভৎসতা !
মিথ্যা অহম বুকে শীর উচু করে ওরা কারা হাসে 
রক্তাক্ত টাকা আর ক্ষমতার আসনে !
কোথায় যেতে চায় ওরা মানবতার বুকে কলঙ্ক এঁকে
জীর্ন এ দেহের মৃত্যুকেও নিশ্চিৎ জেনে !
কোথায় যেতে চায় ওরা বিভক্তির এ আসনে !

 

ওরা গণতন্ত্রের কথা বলে, রাজা-প্রজার গণতন্ত্র

হ্যাচড়াতে হ্যাচড়াতে থুবড়ে পরা গনতন্ত্র !
প্রজাতন্ত্রের এ জীর্ন পাজড়ে

ছড়েছে বিষাক্ত মানসিক বিকৃতির ঘুন পোকার বিস্তৃতি সর্বাগ্রে,
কুড়ে কুড়ে খেয়েছে সততা মানবতা আর অধিকার
বাজিয়ে সভ্যতার সুরে মানবতার করুন ক্রন্দন,

 

জানি গনতন্ত্রের পাখিরা এখনো ওড়েনি মুক্ত আকাশে

৫২ আর ৭১ এর রক্তের দামও হয়নি পাওয়া,

৪১ বছরের স্বাধীনতার বীজে হয়নি গাছ বিকশীত আপন আলোকে

ফোটেনি এখনো সে ফুল যে ফুলের স্বপ্নে এত প্রান বিসর্জন গেছে

সংবিধানও হয়নি লেখা জনতার পুর্ন স্বার্থে

তাই আজও কেউ প্রদীপ জ্বেলে বসে গনতন্ত্রের সুর্যদয়ের অপেক্ষায়
কেউ এখনো স্বাধীনতার বৃক্ষের গোড়ায় জল ঢেলে যায়

খড়স্রোতের শেষ প্রান্তে দাড়িয়েছে কেউ আপোষহীনতায়,
এ যুদ্ধে বল আজ তুমি আর আমি কোথায় !

 

 

আলোর যাত্রা

অবিরাম অবিরত বালিঘড়ির বালির যাত্রায়

ঠিক, যতটুকু দুরত্বে তারে স্বচ্ছরুপে দেখা যায়;
ফুরিয়ে যাবার গল্প পরিনতির রুপ কল্পে,
কিন্তু জন্ম! ইতিহাস ছাড়িয়েও অতীত গর্ভে অস্বচ্ছ

বড় ভঙ্গুর আবছায়া কল্পনা প্রসূত রাজ্যের বসত বিলাস,

আমি খন্ডকালীন আমাদের দেখে ওদের চিনে নেই

আদীমতম মানব অথবা কালপুরুষের রুপে,

 

মানবের অদৃশ্য বালিঘড়ির অবিরাম যাত্রায়

কত যুদ্ধ হয়ে যায় কত রক্তগঙ্গা!

কত চিৎকার কত অভিশাপ!

ওরা বলতো- আলোর মিছিল আসবে

আসেনি, তবু প্রদীপ হাতে আমি দাঁড়িয়ে,

জানি তোমরাও অপেক্ষায়

বালিঘড়ির যাত্রায় কেউ ফুরিয়েছ কেউ ফুরোবে,

তবু আমি শঙ্কিত আলোর পরাজয়ে

ভীত থুবড়ে পড়া মানবতার মৃত্যুভয়ে

আর ঠিক যেন ততটাই নির্ভিক আত্মবিসর্জনের বলিদানে,

একটু একটু করে পা বাড়িয়ে আজ মানবতার মশাল হাতে

আয় কে যাবি আলোর দেশে আঁধার কেটে

জ্বালিয়েনে প্রান জ্বালিয়েদে প্রান সত্য জ্ঞ্যানের মশাল জ্বেলে!

 

“স্বার্থপর!”
কি অভিলাসে সে এসেছিল বুঝিনি

মুখোশের স্তরে স্তরে ছিল তার পরিচয়ের সহবাস

তবু যেন তারে চেনা হলনা !

 

আজো আমি খুজি আড়ালের সে বর্নচোড়াকে

কিছু না ভেবেই যাকে ভালোবেসে বিসর্জনের চাদর পরেছি

হৃদস্পন্দনের বুননে কষ্টের নীল চাদর বুনে,

খুজেছি তাকে বিমূর্ত নিরবতায়

অভিমানে গড়া ভাগ্যের পরিহাসে,

 

সেদিন বলেছিলাম ভালোভাসার ব্যাপ্তি নিয়ে

উন্মুক্ত স্বচ্ছ এক ফোটা জলের মত-

“অনুভব যায় চোখ ছুয়ে হৃদয়ের গভীরে

যেখানে আমি বাঁচি গভীর আশ্চর্য স্পন্দনে

বল ! আসবে কি তুমি এতটা গভীরে?


আর তুমি বলেছ- “স্বার্থপর!”

বলেছ- “এ তোমার নিছক পাগলামো”

নির্বাক আমি অপরাধী হয়েছি তোমার অভিযোগে

ভেঙ্গে হয়েছি চুড়মার কাচের মত!

আগুনে জ্বলে আবারো একক স্বত্ব

এখন আর আমি ভালোবাসার রুপক সাজাই না

চাইনা আর কোন ভুল উপমা গড়তে,

 

আজ আমি তার সে প্রতিক্ষীত অর্জন;

ভালোবাসার এ অস্তিত্বে পাথুরে মূর্তির প্রতিস্থাপন।


মিথ্যা

ওরা দির্ঘ কালো দানবের মত

বিস্তৃত মরুভূমির মত

উগ্র দাবানলের মত

কিন্তু ওরা অসীম নয়

নয় সত্যের মত আলোকিত

ওরা ভীত, হতে সত্যের হাতে স্পর্ষীত

ওরা মুখ চোরা রঙ চোরা

ওরা পাপেদের সন্তান

ওরা মিথ্যা ওরা দ্বিধা

শ্বঙ্কিত মুক্ত আলোড়নে,

ওরা বর্বর অসভ্য স্বাধীনতার নামে

ওরা ঘুনপোকা আলোর পাজড়ে

কখনো সুন্দর ফুলের মত মুখোশের আড়ালে

তবু ওরা অপবিত্র বিবেকের সাম্রাজ্যে,

তবে হোক নিশিদ্ধ !

দাও ওদের মৃত্যু আলোর জোয়ারে

নয় ঘৃনার আগুনে ।
 


আজ

কাল জানিনা সে কোথায় কেমন

জানিনা সে সাজবে কিনা এ রুপে,

জেনেছি শুধু এ মূহুর্তকে বুক ভরে স্বাস নিয়ে

যেখানে জীবন বোনা অস্পৃষ্য বিশ্বাসে

ভবিষ্যৎও তাকিয়ে এখানে এ মূহুর্তে,

ইতিহাসও এ রেখার পদাঙ্কে,

 

বল যদি আজ না বাঁচে তবে কাল কোথায় রবে !

যদি আজ না হয় পুর্ন, কালের কি প্রাপ্তি রবে !

যদি আজ না পার দিতে বল কাল কি দেবে !

 

তাই উৎসর্গী এ জীবন আজের এই মূহুর্তে,

আজ নাহয় বেঁচে থাকি জীবনের তরে

মানবতায় পুর্ন - মানব অনুরাগে

বেঁচে থাকি সর্বকালের মানব অন্তরে ।

ODYSSEY OF LIFE
-----------------------------
6/16/2015

Heart bits in dark & light-

yours, ours & mine
It is life; the divine;
tactile & intangible
to bind with our time,
with the finite & infinite
it is you & I,

Some bits in between sound & silence-

with the infinite to the finite
the message; the mystic
there they are
the light but repressed
by the evil of greed & ignorance
they brought the story of time;
past present & future
yours, ours & mine,

Now no bits in between or in sound & silence-

now it is the true singularity
no tactile nor any bonding of life
no war or any deception
Now it is I; the intangibility,
no! I have nothing to prove you
death has nothing to prove you!
it is the life; has to be divine !
it is the soul; to perceive the great intangibility !
it is us with the great power & responsibility !

গনপ্রজাতন্ত্র

যে জ্ঞ্যানে মন্দ সাজে ভালোর সাজে

যে জ্ঞ্যানে সত্যি যায় নির্বাসনে

সে জ্ঞ্যানেই বিচারপতীর দন্ড রবে...!

যদি ভাব লিখায় আমার কেন এ বিচার আচার

সংগ্রামের সুর ভালোবাসার ফাল্গুনে !

তবে তাকাও নিজের পানে, সাম্রাজ্যের আচারে,

বল আমায় জনগন আছে কোথায় কেমন বিচারে!

পতীগনই আছে কোথায় কেমনে!

গনপ্রজাতন্ত্রী বলে মোদের বোঝ দিয়েছে

শুধু বলেনি প্রজার উপরেই রাজা বসে,

ওপরতলায় রাজাদের পেয়ালায় সুধা হাসে

যখন তার প্রজারাই পদতলে ক্ষুধায় কাঁদে,

এ আমাদের প্রজাতন্ত্র চকচকে পয়সার দুপিঠে

অবু দশ বিশ গুনে মন্ত্রী বেছে গনতন্ত্রের মুখোশে,

যদি গনতন্ত্রই বল তারে

তবে সরকার কেন দলীয় হবে!

এসব বলে সভ্য সুরে জনগন ধৈর্য ধরে

রাজাদের ইজ্জত যাবে

যদি জনগন যায় ক্ষেপে,

 

তবু মনে আমার ভয়

কখন যে কি হয় !

এ লিখা পাঠ হলে

জেলে না আমায় দেয় পুরে!


অভিযোগ

আঁধার নামে এ নগরে ঝলমলে নিওন আলোর ঝলকে

আঁধার নামে বস্তির ঘরে ল্যাম্পপোস্টের পাশে

ভয়াবহ বৈষম্যের বিষম প্রতিফলনে,

আঁধার নামে দুবেলা দুমুঠো খাবার

আর মোটা কাপড়ের স্বপ্নে!

 

শ্বপ্ন হাসে জনপ্রতিনিধীর রঙিন ঝাড়বাতির ঝালড়ে

স্বপ্ন ভাসে ডোবার জলে সে আলোর ঝিলিকে,

সৃষ্টিকর্তার ফেরেস্তারাও নেমে আসে রাত গভীর হলে

নেমে আসে ঝলমলে আলো আর সুবাসিত ঘরে

নকশী কাটা রঙিন কার্পেটের বুকে,

 

ওরা আলো দেখে শুধু রাতের আঁধারে

তাই বঞ্চিত রয় দরিদ্রের ঘর আলো জ্বলেনা বলে

বঞ্চিত রয় দিন-মজুর গায়ে তার ঘামের গন্ধ বলে

বঞ্চিত রয় কোটি শিশুর ভাগ্য অন্ধকারে,

 

সৃষ্টিকর্তা ! আজ বল তুমি কার হলে!

কোন মহীমায় আজ তোমার ভক্তি রবে!

ফুলে না রক্তে তোমার পূজো হবে!

তবু ঠিক তুমি, যদি রও আমাদের অন্তরে

বৃথা সবই, যদি রও শুধু আসমানে 
অথবা মসজিদে মন্দিরে ।



বিবেক

বিবেক তুমি জন্মাও মানবের অন্তরে

জন্মাও ঘূর্নিঝড় হয়ে

কলঙ্কগুলো দুমড়ে মুচড়ে ফেলতে

জন্মাও অগ্নিমুর্তি হয়ে

অন্যায়গুলো পুড়ে ছাই করতে

জন্মাও ভালবাসা রুপে

দগ্ধ হৃদয়ে শীতল পরষ দিতে,

জন্মাও মানবের ঘরে, আবেগের স্বরে

চীর সুন্দর মানবের পরিচয় দিয়ে

জন্মাও অক্ষমের চোখের জলে

কঠিন কাচের দেয়াল তুলে

জন্মাও স্বাসকের হৃদয়ে-শোষনের মুক্তি দিতে

জন্মাও শান্তির তরে

এক জীবনে একাধিক রুপে।


আমি আর আমার দুরত্ব
জীবনের কত ঋন জমেছে প্রানের আলোর কাছে

জমেছে কত দেনা মানবতার বুকে

তবু আজো শান্তির সমিকরন রয়েছে বিস্মৃতির পথে!

 

দাড়িয়েছি কতবার আয়নার সমূখে

হয়নি নিজেকে পাওয়া মুক্ত করে তার মাঝে,

জানি, কখনই কাউকে কথা দেইনি

তাইবলে ভালোবাসিনি এমনতো নয় !

বিয়োগ ব্যথায় কাতড়ে উঠিনি এমনতো নয় !
 

আয়নায় আপন প্রতিচ্ছবির বিশ্মিত জোড়া দু চোখে

ভাসে কত অভিশপ্ত গল্প মানবতার রক্তক্ষরনে

অনাদৃত মোহনায় কত নির্বাক প্রশ্নবোধক চীহ্ন!

না না এ আমি নই!

সে এক অন্য কেউ দাঁড়িয়ে বিস্তর দায় দুরত্ব নিয়ে,

কোটি মানুষের মানবতার চিৎকার যতখানি

ঠিক মাঝখানে আমি আর আমার দুরত্ব ততখানি !
 

তবু স্বপ্ন দেখি মানবতার আলোকিত পৃথিবী

সকল দায়মুক্ত নিজের নিজেকে

যেখানে প্রশ্নেরা ভীড় জমাবেনা অশনি সঙ্কেত নিয়ে

অস্তিত্ব হারাবে না ঘুমকে ছুটি দিয়ে!

 

যেন সবই এখনো খনিক স্বপ্নে বেচে থাকা

স্বপ্ন ভেঙ্গেই আয়নার চোখ দুটো নগ্ন জিজ্ঞ্যাসা নিয়ে তাকিয়ে

আরো একবার আমায় করে যাবে যাযাবর

শুধুই মানুষ হবার ভুলে ।
 

 

শূন্য সমিকরন
......টিক ...টক ...টিক...টক...
 

কত সময় তরী যাচ্ছে না ফেরার দেশে

রয়েছে এখনো অসমাপ্ত কত চীরন্তন প্রাপ্তি,

 

আরো একটা দিন আসছে এই পোড়া ভূমির বুকে

আসছে আলো মানবের জমিনে,

৪;১৭,

ভোরের আগমনে রাতের আঁধার যাচ্ছে ফিরে

ঘুমেরাও পালিয়েছে কোথায় কে জানে!

অনুভুতি জট, শব্দ জ়ট, সম্পর্ক জট

সব মিলে মিশে একাকার সময়ের স্রোতে!

তবু সবই যেন ছুটছে একই দিকে

আমাদের সময়ও আদি সমিকরনে,

 

জীবনের খেলায় কোন রাগ কিংবা বিরাগে

নাচের পুতুল ! নাচের পুতুল !

অজিতাত্মা বলে উঠে পরিহাসে আঙ্গুল তুলে,

বিদ্রুপ জ্বালায় তাই কারো বিদ্রোহে যাওয়া আদির গভীরে

খোজা কোন নুতন অঙ্ক অথবা সমীকরন

সময়ের নুতন জন্ম দিতে,

কারো সময় সকলের করে

অথবা নিছক বিসর্জনে!

 

আজ ফাঁদ পেতেছি শূন্য সমিকরনে

আলোক স্নানে তারে বাঁধবো সে শুন্যের ঘরে

গভীর আরো গভীর সকল মাত্রা ভঙ্গে

শূন্য হব পুর্ন হব স্বাসত চড়নে,

 

নির্ভয় আজ হৃদয় তাজ ভালবাসার পরষে

দেবো সব উজার করে ক্ষুদ্রতা মরনে

হে আলো আমায় গ্রহন করো শুভ্রতার আলোকে

পাত্র কর আমায় সে সুধা ধারণে

যারা পাপ করে তাদের শাস্তি নয় শুধু পাপবোধ দাও জানিয়ে

যারা কাঁদা ছোড়ে তাদের পবিত্রতার পরিচয় দাও দেখিয়ে,

আজ আমি মসজিদে যাইনা, মন্দিরেও না

তবু প্রতিদিন প্রার্থনা হয় অন্তর আলোর ঘরে;

প্রার্থনা হয় মানবতার জয়গানে ভালবাসা বরনে

সত্য, সুন্দর, আলো আর শান্তির চড়নে।

 


অমরত্ব

যখন কেউ নেই কোথাও পথ দেখাবার

কেউ নেই কোথাও ক্লান্ত হৃদয়ে একটু ভালবাসা দেবার,

হৃদয়ের বাতিঘরের আলোরাও যখন নিদ্রা গেছে

মনের সুখ-পাখিরাও গেছে হারিয়ে অচীন অরন্যে,

প্রানের তৃষ্ণা মিটেছে বিষ পানে;

সে কি দুর্বার পথচলা কালো সময়ের ছায়া কেটে !

 

তবু যে ছিল তাকিয়ে নিরব অন্তরে আলোর খোজে

যে ছিল অন্ধকারের বিষাক্ত কামড় সয়ে

অস্তিত্বের বসনা ভাঙতে ভাঙতে শেষ প্রত্যয়ের দুয়ারে

সেখানে কোন আপোষ হয়নি !

অন্তঃ দৃষ্টি গেছে গোলক ভেদে মানবতার অন্তরে

অমর ভালবাসার আলো জ্বেলে,

বল তারে মৃত্যু দেবে কিসে !

ফাসির মঞ্চ !

মৃত্যু কি নেবে তারে !

 

মৃত্যুও জেনেছে ভীতি যদি সে মহাপ্রানের মরন আসে

দেখেছে ওদের দেহবদল সময়ের প্রয়োজনে

চীর অমরত্ব, সত্যের জয়গানে ।


আত্মহনন-(পুর্ন)

জীবন মানে অবিরাম পথচলা নয়

কখনো কখনো পেছন ফিরে চাওয়া

কখনো ভালোবাসার শূন্য ঝুলি হাতড়ে ফেরা

হৃদকম্পনের তীক্ষ্ণ বেদনায় নীল রক্তে ভেসে যাওয়া,

 

জীবন মানে ভালোবাসা নয়

শুধুশূন্যতাও নয়

নয় শুধু চীর প্রাপ্তি,

জীবন মানে সহস্র রেখাপাত

খুজেচলা শেষ বিন্দু সুখ সুধা,

জীবন মানে একটি গল্প

পরিপূর্নও নয়, নয় অপরিপুর্নও,

 

কখনো প্রতিক্ষায় জীবনের শেষ দরজায়

উম্মক্ততায় মৃত্যু আকাঙ্খায়;

সেখানে!.......................................অসীম!

ঠিক এখানটায়,

আমরা শূন্য হই পূর্ন হই বড় বিস্তির্নতায়

ঠিক এখানটায়,

ওরা দাড়িয়েছিল স্তম্ভিত অনুরাগে

ঠিক এই দরজায়,

কিন্তু কেউ ফিরেছে খাচায় কেউ ফেরেনি ।

 

জিজ্ঞাসা
যে আবেগে ডেকেছিলাম তোমায় ভালবাসার অনুরাগে

যে আবেগে দুরত্ব আজ আকাশ সমান ,

কখনো কি জেনেছ তুমি তারে !

 

দেখেছ তার বিশাল প্রতিচ্ছবি ক্ষুদ্র শিশির কনায়

স্পন্দনের গভীরে অদ্ভুত আলোরনের মুখোমুখি!

বাঁচি, বাঁচি আমি সেখানে সবুজ কুড়ির বুকে অপেক্ষায়

বল তুমি আসবে কি এতটা গভীরে !

ফুল হয়ে তরুর সুখে

রাখবে কি চোখ সে প্রতিচ্ছবির বুকে !

পারবে কি ভেঙ্গে দিতে সহস্র বছরের গড়েওঠা সব কালো খেয়াল

যে খেয়ালে আজ তুমি আমি বিভক্ত ভালবাসার মরনে,

 

বল পারবে কি ! 

পারবে কি মৃত্যকেও ভালবাসতে !

আসবে কি এতটা গভীরে !

 

চৈত্রের ঘাসফুল
ভঙ্গুর স্বপ্নের ছলনায়

আজ কেউ কোথাও ভাঙ্গা পুতুল সাজে !

ভালবাসাতেও ভীতি জন্মেছে কারনে অকারনে

বাস্তুহারা যেমন ভীত শীতের বৃষ্টিতে

সর্বস্ব হারিয়ে

অথবা,

সে আলোই দেখা হয়নি যে আলোয় জগৎ বাঁচে

যে আলোয় আমাদের এ জীবন যাত্রা,

দেখা হয়নি পবিত্রতা কোন মানব চোখে

কিংবা কোন চৈত্রের খড়ায় ডোবার পাশে একটি ঘাসফুল

জীর্নতার সকল মড়ক ছাড়িয়েও আপন মহীমায় দীপ্তমান!

বাঁচে, ভালবাসা এখনও বাঁচে সে ফুলের নীলে

আলোহীন প্রহরে দুর্বৃত্যের শহরে

কেউ থাকে তার অন্তরে, গোপনে, নিভৃতে

স্বপ্ন বুকে ভালবাসার গুন গুন গুঞ্জনে,

কেউ কি শুনেছিস তার হৃদস্পন্দন!

যে এখনো পথচেয়ে ভালবাসার!

প্রহর গোনে স্বপ্ন তরী ভাসাবার প্রতিক্ষায়

বন্দি আপন প্রতিশ্রুতির কাঠগরায়,

কেউ কি শুনেছিস তার হৃদস্পন্দন!

যার ভালবাসা এখনও বাঁচে সে নীলে
চৈত্রের ঘাসফুলে।

 


কৃষ্ণচূড়ার ভূমি
একটি আকাশ একটি মন

কৃষ্ণচূড়ার এ ভূমি আর ভালোবাসার ঘর,

মেঘের দুর্গে তুমি আমার নাম

নীলচে শত স্বপ্ন মাঝে

ঝড়ো হাওয়ার হাতটি ধরে

তোমার শত ছবি এঁকে,

 

খালি পা ভিজে উঠোন

পাশের ঝিলে সদ্য ফোটা ফুল

একটু ভূমি আর নরম কাদা

তোমার গড়া এই মাটির পুতুল,

 

যদি কখনো মনেহয় সবি জলে মায়ার প্রতিব্বিম্ব !

যদি মনেহয় তার পুরোটাই ভুল !

ছুয়ে দিও সে জলে

মায়া হারাবে ঢেউয়ের বাকে,

সে জল ছুড়ে ফেলো বালির বুকে

প্রতিব্বিম্ব হারাবে চীরতরে,

 

তবু যদি মন কাঁদে !

যদি দু চোখে জল আসে !

সে জলকে প্রশ্ন করো তুমি কার

জেনে নিও তার নাম ।

 

bottom of page